প্লাস্টিক বর্জ্য গ্রেনেডের মতোই হুমকিস্বরূপ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:১২, ১১ জানুয়ারি ২০২৩
প্রতি মিনিটে সারা বিশ্বে ৩ হাজার ৮০০ খালি বোতল, চিপসের প্যাকেটসহ বিভিন্ন প্লাস্টিক বর্জ্য নদী বা সমুদ্রে মিশছে। যে কারণে ভয়াবহ রকমের দূষণের শিকার হচ্ছে পরিবেশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই সচেতন না হলে অচিরেই প্লাস্টিক আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হবে বিশ্ব। এ নিয়ে রাজধানীর মহাখালী টিএন্ডটি মাঠে হয়ে গেল ব্যক্তিক্রমী এক প্রদর্শনী।
প্রদর্শনীতে প্রবেশে নান্দনিক সাজের এই দুটো গেইট তৈরির উপকরণ বলতে শুধুই পরিত্যক্ত বোতল।
মাঠে প্রবেশ করলেই নজরে পড়বে বিশালাকৃতির মাছ, কচ্ছপ, গাছ, গ্রেনেড আর মানুষের মাথার মগজের প্রতিকৃতি। প্লাস্টিকপণ্য ব্যবহার করে যত্রতত্র ফেলে দেয়ায় পরিবেশ-প্রতিবেশে বিরূপ প্রভাবের রূপক হিসেবে এসব স্থাপনা।
বিডি ক্লিন প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ আহমদ বলেন, “একটি গ্রেনেড তৈরি করেছি। ওখানে আমরা এটা লেখেছি যে- আমায় ছুড়ে ফেলবে যতোবার আমি তোমাদেরকেই ধ্বংস করবো, গ্রেনেড হবো ততোবার। প্লাস্টিকের আকুতিটা এরকমই। তাই প্লাস্টিক আমাদের জন্য একেবারেই গ্রেনেডের মতোই হুমকিস্বরূপ। এটা যে কোনো সময়ে বিস্ফোরিত হবে, তখন আমরা ধ্বংসই হয়েই যাব।”
মাঠের একপাশে রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিও। প্রতিটি প্রতিকৃতিতে ব্যবহার করা হয়েছে এক লাখ করে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক বোতল।
ফরিদ আহমদ বলেন, “প্রতি মিনিটে ৩৮শ’ প্লাস্টিকের বোতল বা প্লাস্টিকের সামগ্রী নদীর পানির সঙ্গে মিশে সমুদ্রে যাচ্ছে। সেগুলো সমুদ্রে যে প্রাণীজগত আছে তারা খেয়ে নিচ্ছে এবং খেয়ে হজম করতে পারছেনা। তাতে প্রাণীজগতটাই ধ্বংস হচ্ছে। মানুষের যে যত্রতত্র ময়লা ফেলার অভ্যাস আছে, এটা কোনোভাবেই নাগরিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না, এটা একেবারে বৈরি আচরণ। এই বৈরি আচরণ থেকে যেন তারা বের হয়ে আসতে পারেন, নাগরিক দায়িত্বটা যেন পালন করতে পারেন- এই উপলব্ধি বোধটুকু জাগ্রত করার জন্য এই আয়োজন।”
প্লাস্টিক ব্যবহার ও এর ক্ষতিকারক বিষয়ে সাধারণ মানুষ এবং উৎপাদনকারীদের সতর্কবার্তা দিতেই এমন প্রদর্শনী, বলছেন আয়োজকরা।
এএইচ
আরও পড়ুন